যুদ্ধের আবহে দেশ জুড়ে মকড্রিলের প্রস্তুতি
ইউবিডেস্ক : পহেলগাঁও হামলার পরিপ্রেক্ষিতে চাপা উত্তেজনা বাড়ছে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে। হামলার ঘটনার পরেই প্রতিবেশী দেশের বিরুদ্ধে একাধিক কূটনৈতিক পদক্ষেপ করেছে ভারত সরকার। পালটা সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান। কিন্তু শুধুমাত্র কূটনৈতিক পদক্ষেপেই (Mock Drill) থেমে থাকার বিরুদ্ধে দেশের মানুষ। ২৬ টি নিরীহ প্রাণ চলে যাওয়ার প্রতিশোধে ফুঁসছে দেশবাসী। এমতাবস্থায় ৭ ই মে দেশজুড়ে সব রাজ্যকে বড় নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় সরকার।
আগামী ৭ ই মে, বুধবার দেশজুড়ে ‘মক ড্রিল’ (Mock Drill) এর নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। দেশের প্রতিটি রাজ্যেই হবে মক ড্রিল। বর্তমানে অশান্তি এবং উত্তেজনার আবহে এই নির্দেশ যে গভীর গুরুত্ব বহন করছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু কী এই মক ড্রিল (Mock Drill)? কেনই বা তা এত গুরুত্বপূর্ণ? উল্লেখ্য, যুদ্ধের আবহে সাধারণত করা হয়ে থাকে মক ড্রিল। হঠাৎ করে হামলা হলে সাধারণ মানুষ যাতে নিরাপদ থাকতে পারে, প্রতিকূল পরিস্থিতিতে কী করতে হবে না হবে সে সবই শেখানো হয় মক ড্রিলে।
কী কী হবে বুধবার: ইতিমধ্যেই প্রতিটি রাজ্যের কাছে চিঠি এসেছে কেন্দ্রের তরফে। জানা গিয়েছে, দেশের মোট ২৪৪ টি জেলায় হবে মক ড্রিল (Mock Drill)। রাজ্য প্রশাসন বিষয়টি দেখবে। এতে অংশ নেবে নেহরু যুব কেন্দ্র সংগঠন, এনসিসি। স্কুল, অফিস, কমিউনিটি সেন্টারগুলিতে ওয়ার্কশপ করানো হবে। হঠাৎ হামলা হলে কাছাকাছি আশ্রয়স্থল কীভাবে খুঁজে বের করতে হবে তা শেখানো হবে। পাশাপাশি হামলার সময়ে মাথা ঠাণ্ডা রেখে প্রাথমিক চিকিৎসা করাও শেখানো হবে ওয়ার্কশপে।
শেখানো হবে বিভিন্ন কৌশল: সাধারণ মানুষকে সতর্ক করতে বেজে উঠবে এয়ার রেড সাইরেন। হঠাৎ করেই সমস্ত আলো নিভিয়ে দিয়ে ব্ল্যাক আউট করে দেওয়া হবে শহর। রাতের অন্ধকারে এয়ার স্ট্রাইক হলে নেওয়া হয়ে থাকে এই পন্থা। সমস্ত পাওয়ার প্লান্ট, গুরুত্বপূর্ণ বিল্ডিং, মিলিটারি বেস ঢেকে দেওয়া হবে যাতে কোনো স্যাটেলাইটে ধরা না পড়ে। পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় কীভাবে সাধারণ মানুষকে সরিয়ে দ্রুত উদ্ধারকাজ চালাতে হয় তা শেখানো হবে।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালে ভারত পাক যুদ্ধের আবহে বিভিন্ন রাজ্যে মহড়া (Mock Drill) চালানো হয়েছিল। সাইরেন বাজিয়ে ব্ল্যাক আউটের কৌশল নেওয়া হয়েছিল। তারপর আবার ২০২৫ এ এল নির্দেশ, বর্তমান পরিস্থিতিতে যা যথেষ্ট গুরুত্বের সঙ্গেই বিচার করা উচিত বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।