মাথাভাঙায় নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে রাজবংশী নাট্যোৎসব
ইউবিএন:উত্তরবঙ্গের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হতে চলেছে। রাজবংশী ভাষা অ্যাকাডেমির উদ্যোগে এবার প্রথমবারের মতো আয়োজিত হতে যাচ্ছে “রাজবংশী নাট্য উৎসব”, যার লক্ষ্য—রাজবংশী ভাষা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে নতুন প্রজন্মের সামনে জীবন্ত করে তোলা।
অ্যাকাডেমির চেয়ারম্যান হরিহর দাস জানান, উত্তরবঙ্গের প্রতিটি জেলা থেকে নাট্যগোষ্ঠীগুলি এই উৎসবে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। ইতিমধ্যেই জেলার বিভিন্ন নাট্যসংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে এবং বাছাই প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। উৎসবে অংশগ্রহণের জন্য মূল শর্ত হল—নাটকটি রাজবংশী ভাষায় বা রাজবংশী সংস্কৃতির প্রেক্ষাপটে রচিত হতে হবে।
হরিহর দাস বলেন,
“রাজবংশী ভাষা শুধু যোগাযোগের মাধ্যম নয়, এটি আমাদের পরিচয়ের প্রতীক। নাট্যকলার মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে এই ভাষার প্রতি ভালোবাসা ও গর্বের বোধ জাগ্রত করাই আমাদের উদ্দেশ্য।”
সূত্র অনুযায়ী, নভেম্বর মাসে মাথাভাঙা শহরে তিন দিনব্যাপী এই উৎসব আয়োজনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। উদ্বোধনী দিনে উত্তরের রাজবংশী নাট্য ব্যক্তিত্বদের সন্মাণা, লোকনৃত্য ও আলোচনা চক্র থাকছে। শেষ দিনে সেরা নাট্যগোষ্ঠী, শ্রেষ্ঠ অভিনেতা-অভিনেত্রী ও সেরা মঞ্চ নির্দেশনার জন্য পুরস্কার প্রদান করা হবে।
স্থানীয় সংস্কৃতি প্রেমীদের মতে, এই উৎসব শুধু একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নয়—এটি উত্তরবঙ্গের আঞ্চলিক শিল্পীদের জন্য এক বড় মঞ্চ। নাট্যকর্মীদের মতে
মাথাভাঙায় এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। রাজবংশী ভাষায় নাট্যচর্চা নতুন গতি পাবে।”
অ্যাকাডেমি সূত্রে জানা গেছে, ভবিষ্যতে রাজবংশী নাট্য উৎসবকে প্রতিবছরের নিয়মিত আয়োজন হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে। উৎসবের সঙ্গে যুক্ত করা হতে পারে নাট্য কর্মশালা ও ভাষা সংরক্ষণ বিষয়ক আলোচনা সভাও।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে রাজবংশী ভাষা অ্যাকাডেমি কেবল নাট্যচর্চার ক্ষেত্রকেই সমৃদ্ধ করছে না, বরং উত্তরবঙ্গের সাংস্কৃতিক পরিচয়কেও আরও দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠা করতে চলেছে।এদিন রাজবংশী ভাষা অ্যাকাডেমীর সদস্য গিরীন্দ্র নাথ বর্মনকে সাথে নিয়ে মাথাভাঙায় নাট্যোৎসব আয়োজনের প্রয়োজনীয় কমউনিটি হল ও পরিকাঠামো খতিয়ে দেখেন।