বিজয়া সন্মেলন: মাথাভাঙায় নতুন কৌশলে তৃণমূলের ভোটযুদ্ধে নামার মহড়া
ইউবিএন:রাজনীতির চেনা ছকে যেন একটু ভিন্ন রঙ — এদিনের সভা ছিল ঠিক তেমনই। বিজয়া সন্মিলনী মানে সাধারণত শুভেচ্ছা বিনিময়, আলিঙ্গন আর মিষ্টির প্যাকেট। কিন্তু শনিবার বিকেলে মাথাভাঙা ২ গ্রামীণ ব্লকের জয়ন্তীরহাট পাটাকামারি আর এন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে সেই বিজয়ার মঞ্চেই দেখা গেল অন্য চিত্র।
তৃণমূল কংগ্রেসের কোচবিহার জেলা নেতৃত্বের এই সভা যেন উৎসবের আবহে ছদ্মবেশে রাজনৈতিক পুনর্গঠনের কর্মশালা। জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক পরিষ্কার ভাষায় বললেন,
“আর মাত্র চার মাস,তারপরই বিধানসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হবে — এখন থেকেই আমাদের লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে হবে।”
জেলা চেয়ারম্যান গিরীন্দ্র নাথ বর্মন যোগ করলেন,
“কর্মীরাই দলের সম্পদ, তাঁদের নিয়ে লড়াইতেই এই জয় আসবে।”
কিন্তু যা এই সভাকে ব্যতিক্রমী করেছে, তা হলো — নিচুতলার নেতৃত্বের কণ্ঠকে সামনে আনা। সাধারণত জেলা নেতাদের বক্তৃতাই দখল করে নেয় মঞ্চ, অথচ এদিন অভিজিৎবাবু নিজের আসন ছেড়ে জায়গা করে দিলেন ব্লক ও পঞ্চায়েত স্তরের প্রতিনিধিদের জন্য।
বিজেপি থেকে সদ্য দলবদল করা তৃণমূল নব্য নেতারাও পেলেন বক্তব্য রাখার সুযোগ।
রাজনৈতিক মহলের মতে, মাথাভাঙা বিধানসভায় টানা দু’বার পরাজয়ের পর তৃণমূল এবার বুঝেছে — কৌশল পাল্টানোই একমাত্র পথ।
গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ভুলে ঐক্যের প্রদীপ জ্বালানোই এই সভার মূল উদ্দেশ্য।
অভিজিৎবাবুর সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়াই যেন সেই বার্তার সারাংশ,
“সবার কথা শুনলাম, সেই মতেই দলীয় কাজ করা হবে।”